যেভাবে আহার করবেন
হ্যাল বন্ধুরা কেমন আছেন ? আসা করি ভাল আছেন ,
আলহামদুল্লিলাহ আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি । আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব আহার করার
নিয়মাবলী নিয়ে । আজকের এ টিউটেরিয়াল টি সাজিয়েছি বাস্তব অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন বই পড়ে
। আসলে আহারে আমাদের কোন সমস্যা নেই । সমস্যা হল আহারের পর তা ক্লিয়ার করাতে । অনেকের
আবার গ্যাস্ট্রিক আর সমস্যা থাকে । আজন্য তাদের আহারে সতর্ক থাকতে হয় । আবার কার
পায়খানা খুব কড়া হয় । যার এমনটা হয় তিনিই বুঝেন এর ঝামেলা কী ? তবে সমস্যা আপনার জাই হোকনা কেন ,
নিয়ম মেনে আহার করলে কিন্তু এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন । এর জন্য আপনাকে খুব
পরিশ্রম করতে হবে না , আবার মানতে হবে না কঠিন কোন নিয়ম । শুধু অভ্যস করে আহার
করলেই আপনি কষ্টকাঠিন্ন বা গ্যাস এর সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন । তবে চলুন বেশি
কথা না বাড়িয়ে চলেযাই আজকের টিউটেরিয়ালে ।
নিয়মিত আহার করুনঃ
আহার করবেন নিয়মিত । নিয়মিত তো আপনি আহার করেনই
। শুধু নিয়মমত আহার করবেন । মানে সকাল , দুপুর আর রাত এই তিন সময়েই আহার করবেন
নির্দিষ্ট সময় পর পর । ধরুন আপনি যদি সকাল ১০.০০ সকালের খাবার খান , তবে দুপুরের
খাবার খাবেন ০৩.০০ সময় । তাহলে রাতের খাবার খাবেন ০৯-১০.০০ মধ্যে । এখন দেখুন দুপুরের
আর রাতের খাবারের মঝে বিশাল গ্যাপ রয়ে গেল । এই সমটায় আপনি কী করবেন ? বলি কী !
বিকালের দিকে একটু হালকা নাস্তার ব্যাবস্তা করুন । নাস্তা করতে না পারলে , নাহয়
বিকেলেও সম্মান্য একটু ভাত ই খেয়ে নিন । মনে রাখবেন প্রতিদিন কিন্তু আপনাকে একই
প্যার্টানে আহার করতে কবে । নইলে আপনার সমস্যা সমস্যাই থেকে যাবে । প্রতিদিন একই
সময়ে আহার করতে ভুলবেন না জেন । খাবারে খনই অনিয়ম করবেন না ।
সঠিক মাত্রায় পানি পানঃ
চলুন আহার তো আপনি সঠিক সময় মেনেই করছেন ,
কিন্তু পানি কী সঠিক নিয়মে পান করছেন ।
আপনি যাই খান না কেন । পানি কিন্তু আপনাকে সঠিক মাত্রায় পান করতে হবে । আহার করার
পুর্বে এক গ্ল্যাস পানি পান করুন । এতে আপনার পেটে প্রদাহ কম হবে । আর আহারের সময়
কখনো পানি পান করবেন না । আহারের শেষে পানি পান করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে (৬-৭ গ্লাস)
। মনে রাখবেন আপনি দিনে নয় প্রতিবার আহারের পর ৬-৭ গ্লাস পানি পান করবেন । যদি
আপনি ভাজাপড়া জাতিও কোন খাবার গ্রহণ করেন , তবে যে পরিমাণই আপনি আহার গ্রহণ করুন
না কেন আহারের পর অবশ্যই ৪-৫ গ্লাস পানি পান করবেন । তাহলে আপনার পেটের সমস্যা হবে
না ।
ভাজাপড়া জাতীয় আহারঃ
আনেকে ভাজাপড়া জাতীয় খাবার না খাওয়ার জন্য নিষেধ
করেন । কিন্তু আমি তা মানি না । কারন ভাজাপড়া খাবার আপনি খাবেন ঠিকই , কিন্তু বেশি
তেল মিশ্রিত খাবার গ্রহণ করবেন না । যদি আপনি কোন দকানে এমন খাবার দেখেন যে তাতে
বেশি তেল রয়েছে তাহলে তাথেকে তালতুকু চিপে বেরকরে দিন । এধরণের খাবার খাওয়ার পর
বেশি পরিমাণ পানি পান করুন । মনে রাখবেন যখনই আপনি অধিক তেল যুক্ত খাবার গ্রহণ
করবেন তখন বেশি করে পানি পান করুন ।
কষ্টকাঠিন্ন , আহার করার নিয়ম , কীভাবে আহার করব
, কষ্টকাঠিন্ন থেকে মুক্তি , গ্যাস্ট্রিক সমস্যা , গ্যাস্ট্রিক , যেভাবে আহার
করবেন ,খাওয়ার নিয়ম
No comments:
Post a Comment