এমবিএস Diplomacy:
ব্যক্তিগত সার্কেলে আরও ৫-৭ বছর আগে থেকেই আলোচনা করেছিলাম অতিসত্বর এমবিএস তথা সৌদি আরব বিশ্ব অর্থনীতি, কূটনীতি ও সামরিক পাওয়ার হাউজ হয়ে উঠবে।
*** মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট ঋণ ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার। মোট জিডিপির ১২৩% ঋণে জর্জরিত মার্কিন জনগণ। আর অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশাল ঋণের বোঝা হালকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন ট্রাম্প।
.
> আর সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ ছিলো বিভিন্ন দেশের উপর মার্কিনীদের ন্যায্য শুল্ক আরোপ।
কেনো ন্যায্য বললাম একটা উদাহরণ দিই:
মার্কিন পন্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে ৭৮% পর্যন্ত শুল্ক দিতে হয়, আর বাংলাদেশি পন্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় মাত্র ১০-১৫% শুল্কের মুখোমুখি হয়। বিশ্বের সব দেশ এই অবস্থা করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে।
এখন ট্রাম্প এসে নতুন নীতি ঘোষণা করেছে, তোমরা আমার উপর যা শুল্কারোপ করবা আমি অন্তত তার অর্ধেক শুল্কারোপ করবো, তার মানে বাংলাদেশের পন্যের উপর ৩৪% শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বের সব দেশের উপরই এই ন্যায্য পলিসি গ্রহণ করেছে ট্রাম্প।
আর এতেই বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা। আর এই পলিসির বিরুদ্ধে এক জোট বিশ্বের প্রায়(গল্ফ দেশ গুলো ছাড়া) সব দেশ। এতে ট্রাম্পের অর্থনীতি পুনরোদ্ধারের পলিসি ধাক্কা খায়।
> আবার অপ্রয়োজনীয় সেনাঘাটি সড়িয়ে ও সামরিক অভিযান বন্ধ করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করার চেষ্টায় আছে ট্রাম্প। (আর এতেই পোয়াবারো মুসলিম বিশ্বের। সেই আলাপে পরে আসতেছি)
> ট্রাম্প বলতেছে রাশা আমার দেশের জন্যে হুমকি নয়, তাহলে আমি কেনো রাশার বিরুদ্ধে বছরকে বছর ধরে...
ক. ন্যাটোকে ট্রিলিয়ন ডলার দিবো?
খ. ন্যাটোর বাহিরের দেশ ইউক্রেনকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতা করবো?
.
ক. ন্যাটোতে বছরে ৯৯৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা ন্যাটোর মোট ব্যায়ের ৬৬%। এখন ট্রাম্প বলতেছে ন্যাটোভুক্ত বাকি দেশ গুলো যেনো তাদের মোট জিডিপির অন্তত ৫% খরচ করে। (বর্তমানে ১-১.৫% করতেছে) যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। আর এতেই ইউরোপের সাথে ট্রাম্প তথা মার্কিনীদের সাথে বড় একটা দূরত্ব তৈরী হয়েছে।
.
খ. রাশা-ইউক্রেন যুদ্ধে ৪ বছরে ইউক্রেনকে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের অস্র সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন ট্রাম্প আর অস্র দিতে অস্বীকৃতি জানায়, ইতিমধ্যে যা দিয়েছে তার প্রতিদান চাচ্ছে। এতে ফ্রান্স,বৃটেন, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ আপত্তি জানালেও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে ইউক্রেন পড়েছে মাইনকার ছিপায়। কারন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ন্যাটোর বাকি দেশ গুলো মুখে মুখে যতই সিম্পেথি দেখাচ্ছে কার্যকর কোন অস্র সহযোগীতা করতেছে না।ফলস্বরূপ মার্কিন বিভিন্ন কোম্পানির সাথে ইউক্রেন ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইনিং চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন করে মিলিটারি সহযোগিতা পাচ্ছে।
ট্রাম্পের ইয়া-নফসি(নিজের স্বার্থ আগে) নীতির কারনে এখন ইউরোপও ইয়া-নফসি নীতিতে চলতেছে। এতে ন্যাটো ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন কার্যত ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
ফলে ফ্রান্স বৃটেন ও জার্মানি নিজ নিজ অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। আর সবার ব্যবসা ও প্রতিরক্ষার প্রধান আকর্ষণ সৌদি নেতৃত্বাধিন মধ্যেপ্রাচ্য।তো এমবিএসকে খুশী করতে সবাই নিজ নিজ পলিসিতে আগাচ্ছে। আর এমবিএসের সাথে সম্পর্কের পূর্বশর্ত হলো ফিলিস্তিন ও লেটেস্ট টেকনোলজি যা সৌদিতে উৎপাদিত হতে হবে। ফলস্বরূপ কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ফ্রান্সও এমবিএসকে খুশী করতে বনিইয়াকুবিদের সেক্রিফাইস করে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে। আর বৃটেন আলোচনা করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
এদিকে জার্মানিতে আরেক ঘটনা ঘটেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার প্রো নাৎসিরা ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে এসেছে। তারা প্রধান বিরোধী দল হিসাবে আছে, আর ডানপন্থী মার্টজ এখন চেঞ্চেলর। এর ফলে সেখানে বনিইয়াকুব বিদ্বেষ বেড়েছে।
যাইহোক...
ঋনগ্রস্থ মার্কিনীদের সাথে ইউরোপের যখন এই টালমাটাল সম্পর্ক চলছে। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের ঘোষণা দেয় এমবিএস তথা সৌদি আরব। দুবাই ৩০০ বিলিয়ন ও কাতারও প্রায় সমপরিমাণ। ট্রাম্প এই বিনিয়োগকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নিত করার অনুরোধ জানায়। তখন এমবিএস কিছু শর্ত আর অভিযোগ দাড় করায়। সেই শর্ত আর অভিযোগ গুলোর মধ্যে বনিইয়াকুব আর ফিলিস্তিনের প্রসঙ্গ অন্যতম। আরও রয়েছে সৌদির নিরাপত্তা গ্যারান্টি ও সামরিক প্রযুক্তি সহায়তা যা সৌদিতেই উৎপাদিত হতে হবে।
এতো বছর ধরে মার্কিনীদের সাথে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর সাথে একটি শর্ত থাকতো সৌদী-বনিইয়াকুব নরমালাইজেশন।
অথচ, এটি এখন ট্রাম্পের আলোচ্য সূচীতেই থাকছে না!
.
নরমালাইজেশনে সৌদী আরবের প্রথম শর্ত (কিংবা পূর্ব শর্তও বলা যায়) ছিল, প্রথমে '৬৭ জুন পূর্ব সীমানায় প্যালেস্টাইন স্টেটকে ইসরায়েলের মেনে নিতে হবে, এবং এই রাষ্ট্রের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
.
এর পরে, সৌদী আরবকে সিকিউরিটি গ্যারান্টী দিতে হবে আমেরিকার।
এই গ্যারান্টীর লেভেল হবে কোনো নন ন্যাটো রাষ্ট্রকে প্রতিশ্রুত নিরাপত্তা গ্যারান্টীর সর্বোচ্চ। উদাহরণ স্বরুপ জাপানকে আমেরিকার দেয়া সিকিউরিটি গ্যারান্টীর কথা বলতে পারি।
তবে, সহজে বুঝে নেন সেই গ্যারান্টি বনি ইয়াকুবিদেরও দেয়া নাই।
.
এই সিকিউরিটি গ্যারান্টীর ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাইডেনও শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছিলেন। কারন তিনি উপলব্ধি করেছিলেন মার্কিন বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরোদ্ধার ও নির্বাচনে জয়লাভ আরবদের সমর্থন ছাড়া সম্ভব নয়।
তবে হা*শ নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্যে এই নরমালাইজেশনের চূড়ান্ত পর্যায়ে বনিইয়াকুবিদের উপর হামলা চালায়। ফলে বাইডেনের পক্ষে তখন আর চুক্তিতে পৌছানো সম্ভব হয়নি।
.
এতোদিন ধরে আমেরিকার তরফে এই গ্যারান্টীর শর্ত ছিল, বনি ইয়াকুবের সাথে সৌদির সম্পর্ক নরমালাইজেশন হলে পরে নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টি বিবেচিত হবে।
.
এমবিএস এবার ট্র্যাম্প থেকে সেই শর্তও উঠিয়ে নিয়েছে। তার মানে, নরমালাইজেশন ছাড়াই, সৌদী আরবকে জাপান মানের সিকিউরিটি গ্যারান্টী দিতে যাচ্ছে বা দিতে হচ্ছে।
.
এর মধ্যে আরেকটি বিষয় নিউজে এসেছে। সৌদী আরবের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে আমেরিকার সহযোগিতা। আমেরিকার শর্ত ছিল, বনিইয়াকুবিদের সাথে নরমালাইজেশন। কিন্তু এখন নিউজ এসেছে, ট্র্যাম্প সেই শর্তওতুলে নিয়েছে।
ইতিমধ্যে এমন অসম চুক্তির কঠোর বিরোধীতা করে ও মার্কিন সরকারের সমালোচনাও করেছে বনিইয়াকুবিরা। কিন্তু ট্রাম্প এতে থোড়াই কেয়ার করার লোক নয়। বনিইয়াকুবিরা আরব-মার্কিন অসম সম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্যে ঘাযা দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এতে ট্রাম্প নাখোশ হয়ে ইতিমধ্যে বনিইয়াকুবের প্রাইম মিনিস্টারের সাথে (ইতিহাসে নজিরবিহীন) সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। যাদেরকে বছরে ৪-৫ বিলিয়ন ডলার দিয়ে পালতেছে তারা ট্রিলিয়ন ডলারের আলোচনায় বসা মুরুব্বির উপর কথা বললে যা হয় আরকি।
.
এখানে কিছু পিছনের তথ্য তুলে ধরি।
.
(পশ্চিমা চর) জামাল খাশুগী ইস্যুতে পশ্চিমা চাপে রীতিমতো পদচ্যুত হওয়ার উপক্রম এমবিএসের।
শতাব্দী সময় ধরে সৌদি বন্ধু মার্কিন সহযোগীতাও ঠিক কত পাচ্ছিলেন না। প্রথম টার্মে ট্রাম্প সিম্পেথি দেখালেও সহযোগীতা করার মত অবস্থায় ছিলো না।
দৃঢ়চেতা যুবরাজ তখন রাশা ও চীনের দিকে ঝুকে পড়ে। তাদের সাথে অস্ত্র নিয়ে নেগোসিয়েশন শুরু করেন, বিভিন্ন চুক্তি করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, যে সমস্ত অস্ত্র কেনার চুক্তি হয়, প্রত্যেকটি এক পর্যায়ে সৌদী আরবে তৈরীর শর্ত চুক্তিতে যোগ করা হয়।
.
সেই সব বেশ মজার আলোচনা, যারা আগ্রহী, তারা খোঁজ নিয়ে জানুন, মুগ্ধ হবার মতো ব্যাপার।
.
আমি শুধু দুটি বিষয় উলেখ করি, রাশা-চায়না ও দ: কোরিয়ার সাথে তখনই সৌদী আরব নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট বানানোর চুক্তি করে এবং কাজ শুরু করে, কাজের অগ্রগতি ছিল বিস্ময়কর।
রাশা-কোরিয়ারটা জানি না, চায়নারটি ছিল ১৭ গিগাওয়াট (আমাদের রূপপুর ২.৪ গিগাওয়াট)
সঊদিতে সব মিলিয়ে ১৬ টি পারমাণবিক প্রকল্প চলমান। রুপপুরের মত ৩০ টির সমান।
মজার ব্যাপার, আমেরিকার প্রভাবশালী মিডিয়া ওয়াল স্ট্রীট জার্নালে রিপোর্ট বের হয়েছিল যে, সৌদী আরব ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্টের ইয়েলো কেইক তৈরীর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ঐ রিপোর্টে এই পরিমান মায়াকান্না কেঁদেছিল যে, সৌদি এই পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া মানে, নিক্লিয়ার ওয়েপন বানানোর সক্ষমতা অর্জন করে ফেলা্র মত, অথচ আমেরিকাসহ পশ্চিমা কোন দেশ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
.
তারপর থেকে সৌদী আরব নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট সম্পর্কের নিউজ গুলো আরও কঠোর গোপনীয়তায় নিয়ে যায়। আর কোন কোনো নিউজ পাওয়া যাচ্ছিলো না।
.
আর এখন নিউজ বের হচ্ছে, (পাঁচ মাস আগে সৌদী মন্ত্রী জানিয়েছেন) সৌদী আরব ইউরেনিয়াম এনরিচ করে ইয়েলো কেইক রফতানী করার কথা ভাবছে! এ যেনো বিয়ে না হতেই বাচ্চা নিয়ে আলোচনা।
সৌদির ওই অসম নিউক্লিয়ার অগ্রগতি দেখে বনিইয়াকুবিরা বিস্মিত ও ভীত হয়ে পড়েছে। সৌদী আরবের নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টে এখন আমেরিকাও বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে, এফ৩৫, থাড দেওয়ার অফার করতেছে।
মার্কিন ডিপ স্টেট উপলব্ধি করতেছে। যে প্রজেক্টে রাশা-চায়না যুক্ত আছে সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ কোন অবস্থাতেই এই যুগে আর সম্ভব নয়। যেহেতু বিরুধীতা করা সম্ভব নয় তাই এমন প্রকল্পে নিজেরাও যুক্ত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি্তে বড়সড় অবদান রাখা যাবে।
তার মানে কী?
সৌদী আরব প্ল্যান্ট বানিয়ে ইউরেনিয়াম এনরিচ করার পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।ট্র্যাম্প তথা মার্কিনীরা মান ইজ্জত বাঁচাতে পেটে বাচ্চা এসে যাওয়া নারীর বিয়েতে এখন মুরুব্বী সাজছেন।
.
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের আলোচনায়, যে প্রশ্নটি সবাই করেন, তা হলো সৌদী আরবের এটম বোমা! এমবিএস বলেছিলেন, যুদ্ধ মানে প্রাণ ও সম্পদের ক্ষয়, আমরা যুদ্ধ করতে চাই না, এটম বোমাও চাই না। তবে, ইরান যদি এটম বোমা বানায় ও বনিইয়াকুবিরা যদি আমাদের নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরী করে, তাহলে আমাদেরও বানাতে হবে, আমরা বানাবো।
ফক্স টেলিভিশনে দেয়া ঐ ঐতিহাসিক সাক্ষাৎকারের প্রেক্ষিতে কোথাও কেউ আপত্তি তুলে নাই. অর্থাৎ সৌদিআরব চাইলেই ইরান-ইজ্রা যেকোন ইস্যু দেখিয়ে এটম বোম বানিয়ে ফেলতে পারবে সেই পর্যায়ে চলে গেছে সৌদি আরব, ভাবা যায়!! সেজন্যে ট্রাম্প একদিকে বনিইয়াকুবিদের দমন করতেছে আবার ইরানকেও নরম করার আলোচনা করতেছে।
তো এদিকে রিয়াদ সফরে ট্র্যাম্প এক ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এর মধ্যে এতোক্ষন যা লিখলাম, তা হলো ৪০০ বিলিয়ন ডলারের আলাপ।
.
এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, এতো টাকা খরচ করে অস্ত্র-সিকিউরিটি গ্যারান্টী, নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টে সম্মতি - এসব কেনা টা কেমন ব্যাপার?
.
আমার উত্তর হলো, মানুষ নিরাপত্তার জন্যে কুত্তা পালে, এখন কেহ দেশী কুত্তা, কেহ আবার রাশা-মার্কিন কুত্তাও পালে, এটা তো গৃহস্থের সামর্থ ও মর্জির ব্যাপার!
.
বাকী ছয়শো বিলিয়ন হলো বিনিয়োগ।(বিশেষ ভাবে এডুকেশন এআই ও আইটি) অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় প্রযুক্তির হাব হয়ে উঠতেছে সৌদি আরব। এই আলাপ এখানে প্রাসঙ্গিক নয়, তাই এড়িয়ে গেলাম।
.
তা হলে? - বনিইয়াকুবিদের স্বীকৃতি দেওয়ার শর্ত আমেরিকা ভুলে যাচ্ছে? ইয়াকুবিরা তাহলে কী করবে?
তারা মার্কিন সিদ্ধান্তের বাহিরে এক চুলও আগাইতে পারবে না।
.
মার্কিনীদের নতুন পলিসিতে যুক্ত হয়েছে "বনি ইয়াকুবি সরকার আমেরিকার বন্ধু নয়"
জীবনে এমন কিছু দেখে যাবো, এটা কি কল্পনা করতে পেরেছিলাম? পারিনি। ঠিক যেমন আম্লীগের পতন হবে কেহ কল্পনা করতে পারেনি।
.
আবার পড়ুন,"বনিইয়াকুব সরকার আমেরিকার বন্ধু নয়"।
কি পড়তে ভালো লাগতেছে?
.
তবে, ট্র্যাম্প এবার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেয়ার আগেই আমার পোস্টে প্রেডিকশন ছিলো ট্রাম্পের পলিসিতে সবচেয়ে বেশী উপকৃত হবে মুসলিম বিশ্ব।
ট্রাম্পের কথায় দেখবেন সে প্যালেস্টাইনিদেরকে, মুসলিমদেরকে কেয়ার করেন না, এমন ভাব দেখাবে, কিন্তু শেষে মুসলিম ও প্যালেস্টাইনের অনুকূলে কাজ করবেন। পুরো প্রক্রিয়ায় উনি সতর্ক ভাবে আগাচ্ছেন।
.
এখন কি তা বোঝা যাচ্ছে?
©
No comments:
Post a Comment