কারবার কী বা কাকে বলে ? কারবারের বৈশিষ্ট্য কী ?
হ্যাল বন্ধুরা
কেমন আছেন । আশা করি আপনারা ভাল আছেন । আলহামদুল্লিলাহ আল্লাহর কৃপায় এবং আপনাদের
দোয়ায় আমিও ভাল আছি । আজ আমরা আলোচনা করব কারবার নিয়ে । আপনি নিশ্চই কারবার শব্দটি
শুনেছেন । সাধারণত কোন ব্যাবসাকে আমরা কারবার বলে থাকি । আর যিনি ব্যাবসা করেন
তাকে আমরা বলি
ব্যাপারি । কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন কী যে, সকল ব্যাবসাই কী কারবার !!! না
বন্ধুরা আপনি ঠিকই ধরেছেন সকল ব্যাবসাকে কিন্তু কারবার বলা যায়না । কারবার হতে হলে
তার কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, রয়েছে কিছু শর্ত এবং তা হতে হবে সমাজ স্বীকৃত । তা না
হলে যেকোন ব্যাবসাকে আমরা করবার বলতে পারি না । এখন আপনি নিশ্চই ভাবছেন তাহলে কোন
ব্যাবসাকে আমরা করবার বলব ? আর কাকেই বা
বলে কারবার ? চলুন তবে জেনেনেই কারবারের বৈশিষ্ট্য ও কারবারের সংজ্ঞা ।
মানুষ তার অভাবের
তাড়নায় ও জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কাজ-কর্মে লিপ্ত থাকে ।
মানুষের এ সকল অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপই কারবারের পর্যায়ভুক্ত । সমাজের বিভিন্ন
মানুষের মধ্যে কেউ কৃষিজীবী, কেউ মৎসজীবী, কেউ কুমার, কেউ তাঁতি, কেউ শিল্পপতি,
কেউ ব্যাবসায়ী, কেউ আইনবিদ, কেউ ডাক্তার, কেউ প্রকৈশলী এবং এ রকম আরো বহু পেশায়
নিয়োজিত থেকে সবাই নিজ নিজ গণ্ডিতে স্বীয় দক্ষতা ও স্বীয় যোগ্যতা বলে অর্থোপার্জন
করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে । আবার এটাও লক্ষ করা যায় যে, এই সমাজেরই কিছু লোক
আবৈধ উপায়ে অর্থপার্জন করে তাদের চাহিদা মেটাচ্ছে; যেমন- কেউ চুরি-ডাকাতি করে, কেউ
অন্যকে ঠকিয়ে, কেউ চোরাচালানি করে, আবার কেউ কালোবাজারির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ
করছে । তাই বলে জীবিকার তাগিদে অর্থপার্জনের নিমিত্তে মানুষের সকল কাজকেই কারবার
বলা যাবে না । কেবল মানুষের বৈধ্য ক্রিয়াকলাপই কারবারের অর্ন্তভুক্ত ।
কারবার মূলত
মানুষের অভাববোধ ও অভাব পূরণের নিমিত্তে অর্থনৈতিক কাজ-কর্মের সূত্রে উৎপত্তি লাভ
করেছে । তবে মানুষের সকল অভাবই কিন্তু কারবারের অর্ন্তভুক্ত নয় । কারবার বা
ব্যাবসা হলো সেবাকর্ম সরবরাহ করে তাদের (সমাজবাসীর) অভাব মোচন করা । অর্থাৎ, আমরা
ব্লতে পারি যে, অভাব পূরণের নিমিত্তে উৎপাদন, বণ্টন ও এগুলোর সাথে সম্পর্কিত
যাবতীয় কার্যাবলী কারবারের আওতাভুক্ত । বর্তমানে কারবার একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান
হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও সর্বস্বীকৃত এবং সমাজবাসী মানুষের অশেষ কল্যাণ সাধনে এরা
নিয়জিত ।
No comments:
Post a Comment