ভবন ভাঙা সুপরিকল্পিত ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ।ভবনের কাঠামো, আশপাশের অবকাঠামো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সর্বোচ্চ কম সময়েত মধ্যে ভবন ভাঙার জন্য স্ট্রাকচারাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ভবন ভাঙতে হয়।
🔨 ভবন ভাঙার পূর্ববর্তী কাজ:
📌যে কোনো ভবন ভাঙার পূর্বে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এই প্রক্রিয়ার ধাপগুলো দেয়া হলো:
📌 ১. স্ট্রাকচারাল অডিট:
🔹 ভবনের বর্তমান অবস্থা, ব্যবহারযোগ্য উপকরণ এবং দুর্বল স্থান চিহ্নিত করতে হবে।
🔹ফাউন্ডেশন, কলাম, বিম এবং স্ল্যাবের ওজন ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করতে হবে।
🔹ভবনের কন্সট্রাকশন ম্যাটেরিয়াল অনুযায়ী ডেমোলিশন পদ্ধতি নির্ধারণ করা উচিত।
📌 ২. ইমপ্যাক্ট এনালাইসিস:
🔹ভবনের আশপাশের স্থাপনা, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ এবং সিউইজ লাইন চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
🔹আশপাশে রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া থাকলে কম্পন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা উচিত।
🔹পাবলিক সেফটি নিশ্চিত করতে সাইট ব্যারিকেডিং এবং ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করা উচিত।
🔧 ভবন ভাঙার পদ্ধতি (Demolition Methods)
ভবনের উচ্চতা, কাঠামো এবং আশপাশের পরিবেশ অনুযায়ী কয়েকটি পদ্ধতিতে ভবন ভাঙা যেতে পারে
1️⃣ টপ-ডাউন ডেমোলিশন:
🔹 কম্প্যাক্ট এলাকায় (শহরের ভেতরে) এটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি।
🔹ভবনের উপরের দিক থেকে ধাপে ধাপে ভাঙা হয়, এক্সকাভেটর বা রিমোট কন্ট্রোলড মেশিন ব্যবহার করে।
🔹কলাম এবং স্ল্যাব ধীরে ধীরে অপসারণ করা হয়।
2️⃣ মেকানিক্যাল ডেমোলিশন:
🔹ভারী যন্ত্রপাতি যেমন বুলডোজার, এক্সকাভেটর, হাইড্রোলিক ব্রেকার, এবং ড্রাম কাটার ব্যবহৃত হয়।
🔹মাঝারি ও উচ্চ-উচ্চতার ভবনের ক্ষেত্রে কার্যকর।
🔹আশপাশের স্থাপনায় কম্পন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
3️⃣ বিস্ফোরক ডেমোলিশন:
🔹বিস্ফোরক ব্যবহার করে ভবন ধ্বংস করা হয়।
🔹বহুতল ভবন বা নিয়ন্ত্রিত জায়গায় দ্রুত ভাঙার জন্য ব্যবহৃত হয়।
🔹বিস্ফোরক স্থাপন করা হয় স্ট্রাকচারাল দুর্বল পয়েন্টে।
এটি একটি অত্যন্ত জটিল পদ্ধতি, যা বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার ও সরকারি অনুমোদন ছাড়া করা সম্ভব নয়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
ভবন ভাঙার সময় নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।
📌 ১. শ্রমিক ও সাইট সেফটি:
• শ্রমিকদের হেলমেট, গ্লাভস, রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট, এবং বুট পরিধান করা বাধ্যত
No comments:
Post a Comment