১২ জানুয়ারি ২০২৫। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
সকালে খবর এলো জিয়া হলের মসজিদে দুটি কোরআন পুড়িয়ে রাখা হয়েছে। এরপর খবর এলো, সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চে কোরআন পুড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। সারা দিনে খবর পাওয়া গেল আরও সাতটি হলের বিভিন্ন স্থানে—ছাদে, মসজিদে পোড়া কোরআন পাওয়া গেছে।
একটি হলে "বিজেপি" এর প্রতীক পদ্মফুল আঁকা হয়েছে। হিন্দুত্ববাদের পতাকাবাহী প্যারা-মিলিটারি অরগানাইজেশান "আরএসএস" এর পলিটিকাল উইং হলো নরেন্দ্র মোদির বিজেপি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাটি তদন্ত করতেছে।
স্রেফ বিদ্বেষ থেকে ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উগ্রবাদীরা যে এই কাজটি করেছে তাতে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয় বিজেপির প্রতীক অংকিত দেখার পর।
তদন্ত কমিটি আদৌ কোনো সলিড তদন্ত করবে কি না আমার জানা নেই, তদন্ত করলেও জড়িতদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে কি না তাও জানিনা।
কিন্তু এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি সিগনিফিকেন্ট ঘটনা। ইতিপূর্বে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম ঘটেছে বলে মনে হয় না।
২০২৫ সালে এসেও কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কোনো হিন্দু শিক্ষার্থী এতোটা অসহিষ্ণু ও উগ্র আচরণ করতে পারে? কারা তাদেরকে ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী আদর্শের দীক্ষা দিচ্ছে?
এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে হিন্দু শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের ব্যাপারেও তদন্ত হওয়া জরুরী। নইলে ভবিষ্যতে এরকম আরও ঘটনা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটার সমূহ আশংকা রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরএসএস এর স্টুডেন্ট উইং "অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ" এর মতো কোনো উগ্রবাদী সংগঠনের কার্যক্রম দেখতে চাইনা। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়াবে, দাঙ্গা লাগাবে, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াবে.....
No comments:
Post a Comment