ছাত্রলীগের আজকের ফুল দেওয়া দেখে ২০০৯ সালের একটা কাহিনী মনে পড়লো।
২০০৯ সালের ইলেকশনে একটা আসনে বিএনপি আওয়ামীলীগের কাছে হেরেছিলো ৪ ভোটে। ইয়েস, ৪ ভোট।
তো ঐ আসনে বিএনপি আর জামায়াত আলাদা নির্বাচন করেছিলো। বিএনপির কথা ছিলো, জামায়াতের ভোট নাই।
আর জামায়াত নির্বাচনী রাজনীতিতে বরাবরই হ্যালুসিনেশনের রোগী। যেন গোটা দুনিয়ার লোক ওদের ভোট দেওয়ার জন্য মোন করতেছে।
তো এই ফাকাফাকিতে আইসা আসনটা জিতলো আওয়ামীলীগ। ৪ টা ভোট।
অথচ একসাথে ইলেকশন করলে ঠিকই আসনটা পাইতো বিএনপি বা জামায়াত।
মজার ব্যাপার হলো, জামায়াত বা বিএনপি কেউ কাউকে ছাড় না দিলেও নির্বাচনের দুইদিন আগে জাতীয় পার্টি আর জাসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াইলো, আওয়ামীলীগকে সমর্থন দিয়ে।
এই নির্বাচনে হারার পর বিএনপি নেতা মরলেন প্যারালাইজ হয়ে। জামায়াত নেতা মরলেন জেলে জেলে। বিএনপি জামায়াতের কোন মার্কেট অক্ষত থাকলো না। শিবিরের একজন ক্রসফায়ার খাইলো।
আর কারো কিন্তু কিছু হয়নি।
ছাত্র ইউনিয়নের কাউকে একদিনের জন্য জেল খাটতে হয়নি। জাপা নেতারা আজ পর্যন্ত বাটপারি করতেছে। জাসদের কারো পেটে লাত্থি পড়েনি।
জাস্ট বিএনপি আর জামায়াতের প্রতিটা লোকের জীবন গত ১৫ বছরে জাহান্নাম বানানো হয়েছিলো।
অথচ ভোটের সময় জামায়াতের সবচে বড় শত্রু হইছিলো বিএনপি। বিএনপির সবচে বড় শত্রু হইছিলো জামায়াত।
মিলেমিশে ভোটটা করলেই ঐ আসনে ২০ হাজার ভোটে জিতত। হয়তো সবার জীবন ই আরেকটু সহজ হতো।
আজকে সারাদিন বিএনপি আর জামায়াত ১৯৭১ নিয়ে মারামারি করলো।
মাঝখান থেকে ছাত্রলীগ হাসতে হাসতে ফুল দিয়া চলে গেল।
পুলিশ কিছু বলেনি।
কিছু বলবেও না।
হাসিনা ৯০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দিয়ে গেছে। এরা ছাত্রলীগ করে আসা লোকজন। এরা আপনাদের নিজ আগ্রহে ঠেঙাইসে, বাট ছাত্রলীগকে নিতান্ত বাধ্য না হলে ফুলের টোকাও দিবে না।
আপনারা যত ৭১ এ যাবেন, কার ভোট বেশি ঐটা নিয়ে পোন্দাপুন্দি করবেন, আওয়ামীলীগ তত দ্রুত এসে আপনাদের ফুন মাইরা দেবে।
আজ ছাত্র ইউনিয়নের কথায় নাচেন আর ইসলামি আন্দোলনের কথায় ভোটের স্বপ্ন দেখেন,আওয়ামীলীগ আসলে মারা খাবেন আপনি বিএনপি আর জামায়াতই।
ছাত্র ইউনিয়ন আগের মতোই থাকবে। বাকি সব দলই আগের মতোই থাকবে।
জাস্ট আপনাদের ধরে ধরে শেষ করে দেওয়া হবে।
আপনারা বারবার শত্রুকে ভুলে নিজেদের নিজেরাই শত্রু বানাইলেও,,আওয়ামীলীগ কিন্তু নিজের শত্রু চিনতে কোনদিন ভুল করে না, কথাটা মাথায় রাইখেন।
- সাদিকুর রহমান খান
No comments:
Post a Comment