কথা দিয়ে কথা রাখেন নি শেখ মুজিব।

 "কোনো ধর্ষিতাকে যদি তাঁর পরিবার পরিত্যাগ করে তবে তাকে বলে দাও তাঁর ঠিকানা যেন হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর আর পিতার নাম হবে শেখ মুজিবুর রহমান।"।


এই ডায়লগ শুনে বিহগলিত হয়ে উঠেছিল এক সদ্য স্বাধীন জাতি। তবে বিধিবাম স্বাধীন বাংলাদেশে পাক হানাদার ও ভারতীয় হানাদার বাহিনী চলে যাওয়ার পর যখন বাংলাদেশী সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছিল। 


তখন গাজিপুরের এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মোজাম্মেল এক কিশোরী মেয়েকে খুবলে খুবলে ধর্ষণ করে মৃত্যু পথযাত্রী করে‌। তরুণ স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর কাছে এর বিচার নিয়ে যায় ধর্ষিতা কিশোরী মেয়েটির বাবা। এর আগে সেই আওয়ামী লীগের নেতার বাড়ি থেকে তাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।


এই খবর যখন সেনাবাহিনীর কাছে পৌঁছালো তাঁরা জিপ নিয়ে গিয়ে ছিচকে বাটপার মোজাম্মেইল্লাকে এক পতিতা এলাকা থেকে ধরে এনে সেনা ক্যাম্পে আটক করে বিচারের উদ্যোগ নেয়।


সেই সময় সেনা কমান্ডারের কাছে ফোন আসে সেই কথিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ধর্ষিতাদের স্বঘোষিত পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ফোন। বলল, " এই তোরা নাকি হকের ছেলেকে নাকি ধরে এনেছিস?" সেনা অফিসার উত্তর দিল -


 " জ্বি স্যার একটা কিশোরীকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করেছে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে। তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। " 


-" আচ্ছা ও কিছু না এখন মোজ্জাম্মেলকে ছেড়ে দে। রক্ত গরম বয়স কম মাত্র মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে। আর ওর বাপ দলের জন্য অনেক করেছে। ছেড়ে দে।" 


-কিন্তু স্যার!


-"আরে বললাম তো ছেড়ে দে। আমি কোনো বাড়াবাড়ি চাই না"!


অগত্যা ছাড়া পেল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ধর্ষক মোজাম্মেইল্লা। 


[ - এ্য ল্যগিসি অফ ব্লাড,]

[ দেয়াল]

No comments:

Post a Comment

কথিত জঙ্গিদমনের আড়ালে মিলিয়ন ডলার সিন্ডিকে

⚠️ জঙ্গিদমনের আড়ালে মিলিয়ন ডলার সিন্ডিকেট  সিটিটিসি-র‍্যাব-এটিউ এর কথিত জঙ্গি-বিরোধী লড়াই যতটুকু না আদর্শিক, তার চেয়েও বেশি রিজিকের লড়াই। কথ...